Page 39
ਤਿਨ ਕੀ ਸੇਵਾ ਧਰਮ ਰਾਇ ਕਰੈ ਧੰਨੁ ਸਵਾਰਣਹਾਰੁ ॥੨॥
ধর্মরাজ নিজে ভক্তি সহকারে ভগবানের ভক্তদের সেবা করেন , ধন্য সেই প্রাণীরা এবং ধন্য-ধন্য করি তাদের সেই সৃষ্টিকারী প্রভুকে ॥ ২।
ਮਨ ਕੇ ਬਿਕਾਰ ਮਨਹਿ ਤਜੈ ਮਨਿ ਚੂਕੈ ਮੋਹੁ ਅਭਿਮਾਨੁ ॥
যে প্রাণীরা মনের ব্যাধিকে মন থেকে দূরে সরিয়ে ফেলেছে, তারা আসক্তি-অহংকার থেকে মুক্ত হয়ে পবিত্র হয়ে যায়।
ਆਤਮ ਰਾਮੁ ਪਛਾਣਿਆ ਸਹਜੇ ਨਾਮਿ ਸਮਾਨੁ ॥
সেই জীব আত্মার মধ্যেই পরমাত্মাকে চিনতে পারে এবং সহজেই হরি নামে লীন হয়ে যায়।
ਬਿਨੁ ਸਤਿਗੁਰ ਮੁਕਤਿ ਨ ਪਾਈਐ ਮਨਮੁਖਿ ਫਿਰੈ ਦਿਵਾਨੁ ॥
কিন্তু সতগুরু ছাড়া জীব মোক্ষ প্রাপ্ত হয় না, সেই নির্বোধ প্রাণী পাগলের মতো দ্বারে- দ্বারে দিকভ্রষ্টের মতন ঘুরে বেড়ায়।
ਸਬਦੁ ਨ ਚੀਨੈ ਕਥਨੀ ਬਦਨੀ ਕਰੇ ਬਿਖਿਆ ਮਾਹਿ ਸਮਾਨੁ ॥੩॥
সেই জীব সেই ভগবানের কথা চিন্তা করে না, বরং নিরর্থক তর্ক-বিতর্ক করে এবং পাপে লিপ্ত থাকার কারণে সেই জীবের মোক্ষ প্রাপ্তি হয়না ॥৩॥
ਸਭੁ ਕਿਛੁ ਆਪੇ ਆਪਿ ਹੈ ਦੂਜਾ ਅਵਰੁ ਨ ਕੋਇ ॥
পরমব্রহ্ম নিজেই সব এবং এনাকে ছাড়া অন্য কেউ নেই
ਜਿਉ ਬੋਲਾਏ ਤਿਉ ਬੋਲੀਐ ਜਾ ਆਪਿ ਬੁਲਾਏ ਸੋਇ ॥
স্বয়ং পরমব্রহ্ম যেইভাবে প্রাণীদেরকে ডেকে পাঠান, প্রাণীরা সেইভাবেই কথা বলে আর তাকে ডাকেই প্রাণীরা সাড়া দেয়।
ਗੁਰਮੁਖਿ ਬਾਣੀ ਬ੍ਰਹਮੁ ਹੈ ਸਬਦਿ ਮਿਲਾਵਾ ਹੋਇ ॥
গুরুর বাণী স্বয়ং ব্রহ্ম এবং গুরুর বাণী দ্বারাই ভগবানের সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্ভবপর হয়ে ওঠে।
ਨਾਨਕ ਨਾਮੁ ਸਮਾਲਿ ਤੂ ਜਿਤੁ ਸੇਵਿਐ ਸੁਖੁ ਹੋਇ ॥੪॥੩੦॥੬੩॥
হে নানক! তুমি সেই অকাল পুরুষের নাম জপ করো যার আরাধনায় তুমি শান্তি ও সুখ উপলব্ধি করবে॥৪॥৩০॥৬৩॥
ਸਿਰੀਰਾਗੁ ਮਹਲਾ ੩ ॥
সিরিরাগু মহলা। ৩।
ਜਗਿ ਹਉਮੈ ਮੈਲੁ ਦੁਖੁ ਪਾਇਆ ਮਲੁ ਲਾਗੀ ਦੂਜੈ ਭਾਇ ॥
সমস্ত জগৎ মোহ -মায়ার মধ্যে লিপ্ত হওয়ার কারণে অহংকারের মলিনতায় গভীরভাবে পীড়িত হয়।
ਮਲੁ ਹਉਮੈ ਧੋਤੀ ਕਿਵੈ ਨ ਉਤਰੈ ਜੇ ਸਉ ਤੀਰਥ ਨਾਇ ॥
জাগতিক আসক্তির কারণেই অহংকারের মলিনতা গায়ে লাগে, জীব শত তীর্থস্থানে স্নান করলেও এই অহংকারের মলিনতা কোনোভাবেই দূর হয়না।
ਬਹੁ ਬਿਧਿ ਕਰਮ ਕਮਾਵਦੇ ਦੂਣੀ ਮਲੁ ਲਾਗੀ ਆਇ ॥
বহু আচার-অনুষ্ঠানের দ্বারাও এই মলিনতা দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং কর্মের ফলস্বরূপ জীবের সঙ্গে এটা সংযুক্ত রয়ে যায় ।
ਪੜਿਐ ਮੈਲੁ ਨ ਉਤਰੈ ਪੂਛਹੁ ਗਿਆਨੀਆ ਜਾਇ ॥੧॥
ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন করেও এই আবিলতা দূর হয় না, এই বিষয়ে ব্রহ্মবিশারদের থেকেও জেনে নিতে পারো ॥১।
ਮਨ ਮੇਰੇ ਗੁਰ ਸਰਣਿ ਆਵੈ ਤਾ ਨਿਰਮਲੁ ਹੋਇ ॥
হে আমার মন! গুরু সাহেবের আশ্রয়ে এলেও এই অপবিত্রতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গুরুর আশ্রয়ে এসে জীব পবিত্র হয়ে যায় ।
ਮਨਮੁਖ ਹਰਿ ਹਰਿ ਕਰਿ ਥਕੇ ਮੈਲੁ ਨ ਸਕੀ ਧੋਇ ॥੧॥ ਰਹਾਉ ॥
নির্বোধ প্রাণীরা যতই হরির নাম জপ করুক না কেন, তারা এতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে কিন্তু তাদের মলিনতা দূর হয় না। ১ ॥ বিরতি।
ਮਨਿ ਮੈਲੈ ਭਗਤਿ ਨ ਹੋਵਈ ਨਾਮੁ ਨ ਪਾਇਆ ਜਾਇ ॥
অপবিত্র চিত্তের কারণে ভগবানের প্রতি ভক্তি হয় না এবং নামও (ভগবান) অর্জন করা যায়না ।
ਮਨਮੁਖ ਮੈਲੇ ਮੈਲੇ ਮੁਏ ਜਾਸਨਿ ਪਤਿ ਗਵਾਇ ॥
নির্বোধ প্রাণীরা মলিন জীবন যাপন করে এবং তারপর এই মলিনতা নিয়েই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। তারা নিজেদের মান-সম্মান হারিয়ে পৃথিবী ছেড়ে স্থানান্তর হতে থাকে।
ਗੁਰ ਪਰਸਾਦੀ ਮਨਿ ਵਸੈ ਮਲੁ ਹਉਮੈ ਜਾਇ ਸਮਾਇ ॥
যদি গুরুর কৃপা-দৃষ্টি থাকে তাহলে জীবের মলিনতা বিনাশ হয়ে যায় এবং পরমব্রহ্ম জীবের অন্তরে বসবাস করেন।
ਜਿਉ ਅੰਧੇਰੈ ਦੀਪਕੁ ਬਾਲੀਐ ਤਿਉ ਗੁਰ ਗਿਆਨਿ ਅਗਿਆਨੁ ਤਜਾਇ ॥੨॥
যেইভাবে প্রদীপ জ্বালালে অন্ধকার দূর হয়, একইভাবে সতগুরুর কৃপা-দৃষ্টিতে অজ্ঞানতা বিনষ্ট হয়ে জ্ঞানের আগমন ঘটে। সতগুরুর জ্ঞানে অজ্ঞতার অন্ধকার দূর হয়ে যায়। ২৷
ਹਮ ਕੀਆ ਹਮ ਕਰਹਗੇ ਹਮ ਮੂਰਖ ਗਾਵਾਰ ॥
যেইসব প্রাণী আমরা করেছি বা আমরা করবো বলে ঘুরে বেড়ায়, তারা অহংবোধের কারণে মূর্খ ও অশিক্ষিত ।
ਕਰਣੈ ਵਾਲਾ ਵਿਸਰਿਆ ਦੂਜੈ ਭਾਇ ਪਿਆਰੁ ॥
সেইসব জীব কর্তা পরমেশ্বরকে ভুলে যায় এবং হিংসা-বিদ্বেষে লিপ্ত হয়ে যায়, যার কারণে তাদেরকে কষ্ট পেতে হয়।
ਮਾਇਆ ਜੇਵਡੁ ਦੁਖੁ ਨਹੀ ਸਭਿ ਭਵਿ ਥਕੇ ਸੰਸਾਰੁ ॥
মায়ার মতো জীবের জন্য বড় কষ্ট আর কিছু নেই, তাই জীব সারা পৃথিবী ভ্রমণ করে সুখ সঞ্চয়ের চেষ্টা করতে থাকে এবং অর্থের লোভে কলুষিত হয়ে সমস্ত জগতের দ্বারা ক্লান্ত ও ও নিঃশেষ হয়ে যায়।
ਗੁਰਮਤੀ ਸੁਖੁ ਪਾਈਐ ਸਚੁ ਨਾਮੁ ਉਰ ਧਾਰਿ ॥੩॥
কিন্তু সৎগুরুর শিক্ষায় প্রকৃত-নাম হৃদয়ে প্রতিষ্ঠা করে ভগবান সাক্ষাতের আনন্দ উপলব্ধি করে । ৩।
ਜਿਸ ਨੋ ਮੇਲੇ ਸੋ ਮਿਲੈ ਹਉ ਤਿਸੁ ਬਲਿਹਾਰੈ ਜਾਉ ॥
যে পুণ্য আত্মা পরমাত্মাকে লাভ করে, সেই পরমেশ্বরের সঙ্গে মিলিত হন, আমি তার প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করি।
ਏ ਮਨ ਭਗਤੀ ਰਤਿਆ ਸਚੁ ਬਾਣੀ ਨਿਜ ਥਾਉ ॥
এই মন যখন ভগবানের ভক্তিতে নিমগ্ন থাকে, তখন জীব সত্যের পথ ধরে নিজস্বরূপে স্থির থাকে।
ਮਨਿ ਰਤੇ ਜਿਹਵਾ ਰਤੀ ਹਰਿ ਗੁਣ ਸਚੇ ਗਾਉ ॥
মন যখন মগ্ন থাকে, এমনকি জিহ্বাও সত্যস্বরূপ ঈশ্বরের মহিমা গান গায়।
ਨਾਨਕ ਨਾਮੁ ਨ ਵੀਸਰੈ ਸਚੇ ਮਾਹਿ ਸਮਾਉ ॥੪॥੩੧॥੬੪॥
হে নানক! যারা ভগবানের নাম ভুলে যায়না, তারাই সত্যের মধ্যে নিমগ্ন হয়ে থাকে॥॥ ৪৷ ৩১৷ ৬৪৷
ਸਿਰੀਰਾਗੁ ਮਹਲਾ ੪ ਘਰੁ ੧ ॥
সিরিরাগু মহলা ৮ ঘরু ১।
ਮੈ ਮਨਿ ਤਨਿ ਬਿਰਹੁ ਅਤਿ ਅਗਲਾ ਕਿਉ ਪ੍ਰੀਤਮੁ ਮਿਲੈ ਘਰਿ ਆਇ ॥
আমার আত্মা ও শরীর দুঃখের আগুনে তীব্রভাবে জ্বলছে। এখন কেমন করে আমার প্রিয় প্রভু আমার মনের ঘরে এসে মিলিত হবেন ।
ਜਾ ਦੇਖਾ ਪ੍ਰਭੁ ਆਪਣਾ ਪ੍ਰਭਿ ਦੇਖਿਐ ਦੁਖੁ ਜਾਇ ॥
যখন আমি প্রিয়তম (প্রভু)-এর দর্শন পাই, তখন তাঁকে দেখা-মাত্রই সমস্ত দুঃখের অবসান ঘটে ।
ਜਾਇ ਪੁਛਾ ਤਿਨ ਸਜਣਾ ਪ੍ਰਭੁ ਕਿਤੁ ਬਿਧਿ ਮਿਲੈ ਮਿਲਾਇ ॥੧॥
জীবাত্মার নিজের স্বামীকে (প্রভু) দেখার আকাঙ্ক্ষা আছে এবং সে বলে যে আমি ঋষি-সাধুদের কাছে গিয়ে অনুরোধ করি যে কোন পদ্ধতির মাধ্যমে আমি আমার প্রিয়তম ভগবানের দর্শন পেতে পারি। ১ ॥
ਮੇਰੇ ਸਤਿਗੁਰਾ ਮੈ ਤੁਝ ਬਿਨੁ ਅਵਰੁ ਨ ਕੋਇ ॥
হে আমার সতগুরু! আপনি ছাড়া আমার অন্য কেউ নেই।
ਹਮ ਮੂਰਖ ਮੁਗਧ ਸਰਣਾਗਤੀ ਕਰਿ ਕਿਰਪਾ ਮੇਲੇ ਹਰਿ ਸੋਇ ॥੧॥ ਰਹਾਉ ॥
আমি মূর্খ এবং বুদ্ধিহীন, তাই আপনার আশ্রয়ে এসেছি, আমার প্রতি দয়ালু হয়ে আমাকে সেই প্রিয়-প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দিন। ১ ॥ বিরতি।
ਸਤਿਗੁਰੁ ਦਾਤਾ ਹਰਿ ਨਾਮ ਕਾ ਪ੍ਰਭੁ ਆਪਿ ਮਿਲਾਵੈ ਸੋਇ ॥
সতগুরুই প্রভুর নাম দাতা। সতগুরু তিনিই যিনি আত্মাকে ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিয়ে দেন, তাই সতগুরু মহান ।
ਸਤਿਗੁਰਿ ਹਰਿ ਪ੍ਰਭੁ ਬੁਝਿਆ ਗੁਰ ਜੇਵਡੁ ਅਵਰੁ ਨ ਕੋਇ ॥
একমাত্র সতগুরুই অকাল পুরুষকে জেনেছেন, পৃথিবীতে গুরুর চেয়ে বড় অন্য কেউ নেই।
ਹਉ ਗੁਰ ਸਰਣਾਈ ਢਹਿ ਪਵਾ ਕਰਿ ਦਇਆ ਮੇਲੇ ਪ੍ਰਭੁ ਸੋਇ ॥੨॥
জীবাত্মা বলে যে আমি গুরুর আশ্রয়ে এসে নতমস্তকে প্রণাম করি। অতএব, গুরু’জীর কৃপা-দৃষ্টিতে আমার অবশ্যই সেই ভগবানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে । ২৷
ਮਨਹਠਿ ਕਿਨੈ ਨ ਪਾਇਆ ਕਰਿ ਉਪਾਵ ਥਕੇ ਸਭੁ ਕੋਇ ॥
মনের একগুঁয়েমির কারণে গুরুবিহীন আত্মা কখনই অকাল পুরুষকে উপলবদ্ধ করতে পারেনা । সমস্ত মানুষ প্রত্যেক উপায়ের মাধ্যমেও পরাজিত হয়।